Rule-1 (Short Name and Commencement) These Rules shall be called the Gram Adalat Rules, 1976. Rule-2 (Unless the content or context contains anything to the contrary in these rules) (a) "Form" shall mean the form annexed to these rules. (b) "Ordinance" shall mean the Village Courts "Ordinance" of 1976 (Ordinance No. 61 of 1976); (c) 'part' means any part of the Schedule to the Ordinance; (d) "applicant" means a person who makes an application under section 4 of the Ordinance; (e) "respondent" means a person against whom an application is made under section 4 of the Ordinance; and (f) 'section' means any section of the Ordinance. Rule-3: (1) According to sub-section (1) of Section 4, any application shall be made in writing and shall be signed by the applicant and shall be submitted to the Chairman of the Union Parishad. (2) The written application under sub-rule (1) shall contain the following particulars; namely: (a) the name of the Union Parishad to which the application is being made; (b) the name, identity and residence of the applicant; (c) the name, identity and residence of the respondent; (d) the name of the Union in which the offense was committed or the cause of complaint arose; (e) the nature and extent of the complaint or claim, including a brief description; and (f) all remedies being claimed. (3) According to this rule, if the application is related to the first part of the schedule, a fee of two takas and if it is related to the second part, a fee of four takas has to be submitted along with the application. Rule-4: When the Chairman of the Union Parishad rejects the application as per sub-section (1) of Section 4, then the application shall be returned to the applicant along with the order given thereon. Rule-5 : (1) Within 30 days from the date of rejection, the application for revision as per sub-section (2) of Section 4 shall be submitted to the competent Assistant Judge. (2) According to sub-rule (1), the application must be in writing and signed by the plaintiff. It should contain the names, details and addresses of the parties and the original application rejected and returned by the Chairman of the Union Parishad should also be submitted along with this application. All the reasons for which revision is being applied for, should also be briefly mentioned in the application. Rule-6 : If the Assistant Judge to whom an application is to be made under sub-section (2) of Section 4, if he is of the opinion that the order passed by the Chairman of the Union Parishad is ulterior motive or grossly unjust, he shall direct the Chairman in writing to accept the application. pass the order and return the same to the applicant with a similar order. Rule-7 : (1) If the application is accepted, its details shall be recorded in the register kept in Form No. 1 and the number and year of the case recorded in the said register shall also be written on the application. (2) When the Police Station Magistrate or the Assistant Judge sends back a case for reconsideration in accordance with sub-section (2) of Section 8, it shall be re-entered in Form No. 1 Register and heard as a fresh case. Rule-8: (1) After registering the application as per Rule 7, the Chairman shall direct the applicant to appear on a specified date and time and summon the respondent to appear on the said specified date and time. (2) All summons issued in accordance with these rules shall be written in double width and duly signed and sealed by the Chairman of the Union Parishad, and after the establishment of the Gram Adalat shall be duly signed and sealed by the Chairman of the Gram Adalat. (3) In all other cases where provision is made otherwise, every summon issued in accordance with these rules shall be issued by a clerk of the Union Parishad or any person appointed for the purpose by the Chairman of the Union Parishad or the Gram Adalat. (4) The person summoned by the summons shall, if possible, issue the summons personally by handing over one copy of the two copies of the summons to that person. (5) Every person on whom a summons is to be issued shall acknowledge receipt of the summons by signing on the reverse side of the other side of the summons. (6) If it is not possible to issue a summons in the manner described in the above sub-sections despite all reasonable efforts, the summoning officer shall hang up a width of the summons in any public part of the house where the recipient of the summons ordinarily resides, and the summons shall thereby be deemed to have been duly issued. will be (7) If the person in whose name the summons has been issued resides outside the jurisdiction of the Union Parishad, the chairman of the Union Parishad or the village court may register and issue the summons by post (with the cost of acknowledgment of receipt) and the applicant shall bear the cost thereof. Rule-9: (1) Summons shall be served in Form No. 2 to the defendant. (2) Summons shall be given in Form No. 3 to each witness. Rule-10: After the summons is issued to the defendant, the Chairman of the Union Parishad shall ask the parties to nominate their members within seven days, and the Village Court shall be constituted with the similarly nominated members and the Chairman of the Union Parishad. Rule-11: After receiving the names of the members, the Chairman of the Union Parishad shall record the names of the said members in the short column of the register of Form 1. Rule-12 : (1) Where the Chairman of the Union Parishad is unable to act as Chairman of the Gram Adalat for any reason mentioned in sub-section (2) of Section 5 at any time before the decision of the Gram Adalat in any case, or any
বিধি-১ (সংক্ষিপ্ত নাম ও প্রারম্ভ) অত্র বিধিমালা ১৯৭৬ সনের গ্রাম আদালত বিধিমালা নামে অভিহিত হইবে । বিধি-২ ( বিষয়বস্তু বা প্রসংগে বিপরীত কিছু না থাকিলে অত্র বিধিমালায় ) (ক) ''ফরম'' বলিতে অত্র বিধিমালার সহিত সংযোজিত ফরম বুঝাইবে । (খ) ''অধ্যাদেশ'' বলিতে ১৯৭৬ সনের গ্রাম আদালত ''অধ্যাদেশ (১৯৭৬ সনের ৬১ নং অধ্যাদেশ) বুঝাইবে; (গ) 'খণ্ড' বলিতে অধ্যাদেশের তফসিলের কোনো খণ্ড বুঝাইবে; (ঘ) ''আবেদনকারী'' বলিতে যে ব্যক্তি অধ্যাদেশের ৪ ধারা অনুসারে কোনো দরখাস্ত করে, তাহাকে বুঝাইবে; (ঙ) ''প্রতিবাদী'' বলিতে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেহ অধ্যাদেশের ৪ ধারা অনুসারে কোনো দরখাস্ত করে, তাহাকে বুঝাইবে; এবং (চ) 'ধারা' বলিতে অধ্যাদেশের কোনো ধারা বুঝাইবে । বিধি-৩ : (১) ৪ ধারার (১) উপধারা অনুসারে কোনো দরখাস্ত লিখিতভাবে করিতে হইবে এবং উহা আবেদনকারী কতৃর্ক স্বাক্ষরিত হইবে ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট দাখিল করিতে হইবে । (২) উপবিধি (১) অনুসারে লিখিত দরখাস্তে নিম্নলিখিত বিবরণগুলি থাকিতে হইবে; যথাঃ (ক) যে ইউনিয়ন পরিষদে দরখাস্ত করা হইতেছে উহার নাম; (খ) আবেদনকারীর নাম, পরিচয় ও বাসস্থান; (গ) প্রতিবাদীর নাম, পরিচয় ও বাসস্থান; (ঘ) যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘটিত বা নালিশের কারণ উদ্ভব হইয়াছে উহার নাম; (ঙ) নালিশ অথবা দাবির প্রকৃতি ও তায়দাদ, সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ; এবং (চ) যেই সমস্ত প্রতিকার দাবি করা হইতেছে । (৩) এই বিধি অনুসারে দরখাস্ত তফসিলের প্রথম খন্ড সংক্রান্ত হইলে দুই টাকা ফী এবং দ্বিতীয় খণ্ড সংক্রান্ত হইলে চার টাকা ফী দরখাস্তের সহিত দাখিল করিতে হইবে । বিধি-৪ : ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যখন ৪ ধারার (১) উপধারা অনুসারে দরখাস্ত প্রত্যাখ্যান করিবেন, তখন উহার উপর প্রদত্ত আদেশ সহকারে দরখাস্তটি আবেদনকারীর নিকট ফেরত দিতে হইবে । বিধি-৫ : (১) প্রত্যাখ্যানের তারিখ হইতে ৩০ দিনের মধ্যে ৪ ধারার (২) উপধারা অনুসারে রিভিশনের দরখাস্ত এখতিয়ারসম্পন্ন সহকারী জজ-এর নিকট দাখিল করিতে হইবে । (২) উপবিধি (১) অনুসারে দরখাস্ত লিখিত ও বাদী কতৃর্ক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে । উহাতে পক্ষগণের নাম, বিবরণ ও ঠিকানা থাকিতে হইবে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যে মূল দরখাস্ত প্রত্যাখান করিয়া ফেরত দিয়াছিলেন তাহাও এই দরখাস্তের সহিত দাখিল করিতে হইবে । যেই সকল হেতুবাদে রিভিশন দরখাস্ত করা হইতেছে, সংক্ষেপে তাহাও দরখাস্তে উল্লেখ করিতে হইবে । বিধি-৬ : যে সহকারী জজের নিকটে ৪ ধারার (২) উপধারা অনুসারে দরখাস্ত করা হইবে, তিনি যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করেন যে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কতৃর্ক প্রদত্ত আদেশটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত বা বহুলাংশে অন্যায়, তবে তিনি দরখাস্ত গ্রহণ করার জন্য চেয়ারম্যানের প্রতি নির্র্দেশ সম্বলিত লিখিত আদেশ দান করিবেন এবং অনুরূপ আদেশসহ আবেদনকারীকে উহা ফেরত দিবেন । বিধি-৭ : (১) আবেদন গৃহীত হইলে ১নং ফরমে রক্ষিত রেজিস্টারে উহার বিবরণসমূহ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং উক্ত রেজিস্টারে মামলার যে নম্বর ও বত্সর লিপিবদ্ধ হইবে, তাহা দরখাস্তের উপরেও লিখিতে হইবে । (২) যখন ৮ ধারার (২) উপধারা অনুসারে থানা ম্যাজিস্ট্রেট বা সহকারী জজ কোন মামলা পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠাইবেন, তখন তাহা ১নং ফরম রেজিস্টারে নূতন করিয়া তালিকাভুক্ত করিতে হইবে এবং নূতন মামলা হিসাবে উহার শুনানি করিতে হইবে । বিধি-৮ : (১) ৭ বিধি অনুসারে দরখাস্ত রেজিস্ট্রি করিবার পর চেয়ারম্যান একটি নির্দিষ্ট তারিখে ও সময়ে হাজির হওয়ার জন্য আবেদনকারীকে নির্দেশ দিবেন এবং উক্ত নির্দিষ্ট তারিখে ও সময়ে হাজির হওয়ার জন্য প্রতিবাদীকে সমন দিবেন । (২) এই বিধিমালা অনুসারে প্রদত্ত সকল সমন দুই প্রস্থে লিখিত এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কতৃর্ক স্বাক্ষরিত ও সীলমোহরাঙ্কিত হইকে হইবে, এবং গ্রাম আদালত গঠিত হওয়ার পর গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান কতৃর্ক স্বাক্ষরিত ও সীলমোহরাঙ্কিত হইতে হইবে । (৩) যেক্ষেত্রে অন্যরূপ বিধান করা হইবে তদ্ব্যতীত সকল ক্ষেত্রে অত্র বিধিমালা অনুসারে প্রদত্ত প্রত্যেকটি সমন ইউনিয়ন পরিষদের একজন কমচারী কতৃর্ক অথবা ইউনিয়ন পরিষদ বা গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান কতৃর্ক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি কতৃর্ক জারিকৃত হইতে হইবে । (৪) সমন দ্বারা যে ব্যক্তিকে আহবান করা হইয়াছে, সম্ভব হইলে ব্যক্তিগতভাবে সেই ব্যক্তির হাতে দুই প্রস্থ সমনের এক প্রস্থ অর্পণের দ্বারা সমন জারি করিতে হইবে । (৫) যাহার উপর সমন জারি করা হইবে, সেইরূপ প্রত্যেক ব্যক্তি সমনের অপর প্রস্থের বিপরীত পৃষ্ঠায় স্বাক্ষরের দ্বারা প্রাপ্তি স্বীকার করিবে । (৬) যথারীতি চেষ্টা করিয়াও যদি উপরোক্ত উপধারাসমূহের বর্ণিত উপায়ে সমন জারি করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে সমন প্রাপক যে গৃহে সচরাচর বসবাস করে, সমন জারি কারক কর্মচারী সেই গৃহের কোনো প্রকাশ্য অংশ এক প্রস্থ সমন লটকাইয়া দিবে এবং তদ্বারা সমন যথাবিহিতরূপে জারি হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে । (৭) যে ব্যক্তির নামে সমন দেওয়া হইয়াছে, সেই ব্যক্তি যদি সেই ইউনিয়ন পরিষদের এখতিয়ার বহির্ভুত স্থানে বসবাস করে তবে ইউনিয়ন পরিষদের বা গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান ডাকযোগে (প্রাপ্তি স্বীকারের খরচসহ) রেজিস্ট্রি করিয়া সমন জারি করাইতে পারিবে এবং আবেদনকারীকে উহার খরচ বহন করিতে হইবে । বিধি-৯ : (১) প্রতিবাদীর প্রতি সমন ২নং ফরমে দিতে হইবে । (২) সাক্ষীর প্রতি সমন ৩নং ফরমে দিতে হইবে । বিধি-১০ : প্রতিবাদীর উপর সমন জারি হইবার পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পক্ষগণকে সাত দিনের মধ্যে তাহাদের সদস্য মনোনয়ন করিতে বলিবে, এবং অনুরূপভাবে মনোনীত সদস্যবৃন্দ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে লইয়া গ্রাম আদালত গঠিত হইবে । বিধি-১১ : সদস্যগণের নাম প্রাপ্ত হইবার পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ১নং ফরমের রেজিস্টারের সংক্ষিপ্ত কলামে উক্ত সদস্যগণের নাম লিপিবদ্ধ করিবে । বিধি-১২ : (১) যেক্ষেত্রে গ্রাম আদালত কোনো মামলা কোনো মামলার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পূর্বে যেকোনো সময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ৫ ধারার (২) উপধারায় বর্ণিত কোনো কারণে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করিতে অপরাগ হয়, অথবা কোনো পক্ষ তাহার নিরপেক্ষতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করে, সেই ক্ষেত্রে থানা নির্বাহী অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট হইতে সংবাদ পাইলে অথবা কোনো পক্ষের নিকট হইতে লিখিত দরখাস্ত পাইলে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের যেকোনো সদস্যকে কোনো পক্ষ যে সদস্যকে তদীয় সদস্যরূপে মনোনীত করিয়াছে সেই সদস্য (ব্যতীত) নিযুক্ত করিতে পারিবেন । (২) উপবিধি (১) অনুসারে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত থানা নির্বাহী অফিসার গ্রাম আদালতের কার্যক্রম স্থগিত রাখিতে পারিবেন । (৩) উপবিধি (১) অনুসারে নিযুক্ত গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যানের নাম ১নং ফরম রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে । বিধি-১৩ : গ্রাম আদালত গঠিত হইবার পর গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান তিন দিনের মধ্যে দরখাস্তের বিরুদ্ধে লিখিত আপত্তি দাখিল করার জন্য প্রতিবাদীকে নির্দেশ দিবেন এবং গ্রাম আদালতের অধিবেশন অনুষ্ঠানের জন্য একটি দিন সময় ও স্থান ধার্য করিবেন এবং পক্ষগণকে নিজ নিজ বক্তব্যের সমর্থনে প্রযোজনীয় সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করার নির্দেশ দিতে পারিবেন । বিধি-১৪: (১) গ্রাম আদালত ১৩ বিধি অনুসারে ধার্য তারিখে মামলার বিচার করিবে, কিন্তু উপযুক্ত কারণে আদালত বিভিন্ন সময়ে মামলার শুনানি মুলতবী করিতে পারিবে, তবে একেবারে অনুরূপ মুলতবীর মেয়াদ সাত দিনের অধিক হইবে না । (২) গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান সাক্ষীগণকে হলফ বা শপথ করিয়া জবানবন্দি করিতে বলিবেন এবং জবানবন্দির সারমর্ম লিপিবদ্ধ করিবেন বা করাইবেন । (৩) গ্রাম আদালত কোনো বিষয় সম্পর্কে পক্ষগণের মধ্যে বিরোধের ব্যাপারে মামলার যেকোনো পর্যায়ে সরেজমিনে তদন্ত অনুষ্ঠান করিতে পারিবে । বিধি-১৫ : (১) যদি কোনো মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট হাজির হওয়ার জন্য নির্ধারিত তারিখে, অথবা গ্রাম আদালতে মামলার শুনানির জন্য নির্ধারিত তারিখে বাদী হাজির না হয়, এবং ইউনিয়ন পরিষদের বা গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান যদি এইরূপ মত পোষণ করেন যে, বাদী তাহার মামলা পরিচালনায় গাফিলতি করিতেছে তবে তাহার ত্রুটির জন্য দরখাস্ত খারিজ করা হইবে । (২) যেক্ষেত্রে উপবিধি (১) অনুসারে দরখাস্ত খারিজ হয়, সেইক্ষেত্রে মামলা পুনর্বহাল করার জন্য বাদী মামলা খারিজের তারিখ হইতে ১০ দিনের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের বা গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিতে পারিবে, এবং উক্ত চেয়ারম্যান যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আবেদনকারী হাজির না হওয়ার উপযুক্ত কারণ ছিল এবং সে অবেহলার সহিত কাজ করেন নাই, তবে চেয়ারম্যান আবেদনকারীর দরখাস্ত পুনর্বহাল করিতে ও উহা শুনানির জন্য একটি তারিখ ধার্য করিতে পারিবেন । বিধি-১৬ : (১) যদি কোনো মামলা গ্রাম আদালতে শুনানির জন্য ধার্য তারিখে প্রতিবাদী হাজির না হয়, এবং গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান যদি এইরূপ মত পোষণ করেন যে, সে গাফিলতি করিয়াছে, তবে প্রতিবাদীর অনুপস্থিতিতেই মামলার শুনানি করিয়া নিষ্পত্তি করা হইবে । (২) যেক্ষেত্রে কোনো মামলায় উপবিধি (১) অনুসারে প্রতিবাদীর অনুপস্থিতিতেই শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রতিবাদীর বিরুদ্ধে নিষ্পত্তি হয়, সেই ক্ষেত্রে প্রতিবাদী মামলা পুনর্বহাল করার জন্য উক্ত সিদ্ধান্তের তারিখ হইতে ১০ দিনের মধ্যে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিতে পারিবে, এবং চেয়ারম্যান যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, তাহার হাজির না হওয়ার উপযুক্ত কারণ ছিল এবং সে অবহেলার সহিত কাজ করে নাই, তবে চেয়ারম্যান মামলা পুনর্বহাল করিতে ও উহার শুনানির জন্য একটি তারিখ ধার্য করিতে পারিবেন । বিধি-১৭ : (১) গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত আদালতের চেয়ারম্যান ১নং ফরম রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবেন । (২) উপবিধি (১) অনুসারে লিপিবদ্ধ প্রত্যেকটি সিদ্ধান্তে উল্লেখ থাকিবে যে, সিদ্ধান্তটি সর্বসম্মত কিনা, এবং যদি সর্বসম্মত না হয়, তবে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনুপাতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইয়াছে, উহার উল্লেখ থাকিবে । বিধি-১৮ : গ্রাম আদালতের প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত আদালতের চেয়ারম্যান প্রকাশ্য আদালতে গোষণা করিবেন । বিধি-১৯ : (১) ৮ ধারার (২) উপধারা অনুসারে দরখাস্ত লিখিত হইতে হইবে, আবেদনকারী কতৃর্ক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে, এবং তাহাতে পক্ষগণের নাম, বিবরণ ও ঠিকানা উল্লেখ করিতে হইবে, এবং তাহাতে পক্ষগণের নাম, বিবরণ ও ঠিকানা উল্লেখ করিতে হইবে এবং দরখাস্তের হেতুবাদগুলিও সংক্ষেপে উল্লেখ করিতে হইবে । (২) গ্রাম আদালতের প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশের একটি অনুলিপি আদালতের চেয়ারম্যান কতৃর্ক সহিমোহরাঙ্কিত করিয়া দরখাস্তের সহিত সংযোজিত করিয়া দিতে হইবে । বিধি-২০ : প্রত্যেক মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পর ৪নং ফরমে একটি ডিক্রি প্রস্তুত করিতে হইবে এবং গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান কতৃর্ক তাহা স্বাক্ষরিত হইতে হইবে । বিধি-২১ : (১) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ৫নং ফরমে ডিক্রিসমূহের রেজিস্টারে বিবরণ লিপিবদ্ধ করিবেন । (২) ৮ ধারার (২) উপধারা অনুসারে থানা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা সহকারী জজ যে আদেশ দান করিবেন, তাহা যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করা হইবে এবং তদনুসারে চেয়ারম্যান ডিক্রি আদেশ সংশোধন করিবেন এই সম্পর্কে প্রয়োজনীয় বিষয় ৫নং ফরমে ডিক্রিসমূহের রেজিস্টারেও লিপিবদ্ধ করিবেন । বিধি-২২ : ডিক্রির টাকা বা ক্ষতিপূরণের টাকা কতদিনের মধ্যে পরিশোধ করিতে হইবে, তাহা গ্রাম আদালতই স্থির করিবে । এই সময়ের মেয়াদ কোনোক্রমেই চূড়ান্ত আদেশের তারিখ হইতে ছয় মাসের অধিক হইবে না । বিধি-২৩ : কোনো বিরোধের যে কোনো পক্ষের আবেদনক্রমে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান, অথবা যেক্ষেত্রে গ্রাম আদালত নাই, সেইক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পঁচাত্তর পয়সা ফী আদায় করিয়া বিরোধ সম্পর্র্কে গ্রাম আদালতের নথিপত্র পরিদর্শন করিবার অনুমতি দান করিবেন । বিধি-২৪ : বিরোধের কোনো পক্ষের আবেদনক্রমে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান, অথবা যেক্ষেত্রে গ্রাম আদালত নাই, সেইক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রতি একশত শব্দ বা উহার অংশের অন্য পঞ্চাশ পয়সা হিসাবে আদায় করিয়া প্রাসংগিক কোনো নথি অথবা অত্র বিধিমালা অনুসারে রক্ষিত কোনো রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ কোনো বিষয়ের বা উহার অংশবিশেষের নকল সরবরাহ করিবেন । বিধি-২৫ : (১) যখনই ১০ বা ১১ ধারা অনুসারে ধার্য কোনো জরিমানা ১২ ধারা অনুসারে আদায় করা হয়, অথবা অত্র বিধিমালা অনুসারে কোনো ফী আদায় করা হয়, তখন ৬নং ফরমে উহার রশিদ দেওয়া হইবে, যাহাতে ক্রমিক নম্বর থাকিবে, এবং তাহার মুড়ি অংশ ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে রাখা হইবে । (২) অত্র বিধিমালা অনুসারে প্রাপ্ত সকল জরিমানা ও ফী ৭নং ফরমে একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হইবে । বিধি-২৬ : অত্র বিধিমালা অনুসারে দেয় সকল ফী ইউনিয়ন পরিষদ তহবিলের অংশরূপে পরিগণিত হইবে । বিধি-২৭ : মামলার রেজিস্টার এবং ডিক্রি ও আদেশের রেজিস্টারে প্রতি বত্সর গৃহীত হওয়া দরখাস্তের ক্রমানুসারে ও প্রতি বত্সর প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশের ক্রমানুসারে সেইগুলির ক্রমিক নম্বর দেওয়া হইবে । বিধি-২৮ : গ্রাম আদালতের রেজিস্টারসহ যাবতীয় নথিপত্র ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে জমা দেওয়া হইবে এবং রেজিস্টারসমূহ দশ বত্সর পর্যন্ত ও অন্যান্য নথিপত্র তিন বত্সর পর্যন্ত সংরক্ষিত রাখা হইবে । বিধি-২৯ : যেক্ষেত্রে ৯ ধারা (৩) উপধারা অনুসারে কোনো অর্থ আদায় করিতে হইবে, সেই ক্ষেত্রে বকেয়া ভূমি রাজস্ব হিসাবে উহা আদায় করার জন্য গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান ৮নং ফরমে উহার বিবরণ থানা নির্বাহী অফিসের নিকট প্রেরণ করিবেন । বিধি-৩০ : ১২ ধারার (১) উপধারা অনুসারে যে জরিমানা আদায় করিতে হইবে উহার পরিমাণ উল্লেখ করিয়া প্রদত্ত আদেশ ৯নং ফরমে থানা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে । বিধি-৩১ : ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রতি বত্সর পহেলা ফেব্রুয়ারি ও পহেলা আগস্টের পূর্বে গ্রাম আদালতসমূহের যথাক্রমে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাস এবং ৩০শে জুন পর্যন্ত ছয় মাসের কার্যাবলীর রিটার্ন ১০নং ফরমে থানা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রেরণ করিবেন । বিধি-৩২ : যখন কোনো গ্রাম আদালত এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উহার বিচারাধীন কোনো মামলার ন্যাবিচারের খাতিরে আসামীর শাস্তি হওয়া বাঞ্ছনীয়; তখন গ্রাম আদালত ১১নং ফরমে উক্ত মামলা ফৌজদারী আদালতে প্রেরণ করিতে পারিবে । বিধি-৩৩ : যখন সমন অনুসারে বা অন্যভাবে প্রতিবাদী হাজির হইয়া আবেদনকারীর দাবি বা বিরোধ স্বীকার করে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে দাবি মিটাইয়া দেয় তখন কোনো গ্রাম আদালত গঠন করা হইবে না । বিধি-৩৪ : যখন গ্রাম আদালত অথবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কোনো পক্ষকে দেয় কোনো অর্থ গ্রহণ করেন, তখন সংশ্লিষ্ট পক্ষের আবেদনের তারিখ হইতে সম্ভব হইলে সাত দিনের মধ্যে সেই অর্থ তাহাকে প্রদান করিতে হইবে । বিধি-৩৫ : (১) প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে গ্রাম আদালতের একটি সীলমোহর রাখিতে হইবে, যাহা বৃত্তাকার হইবে এবং যাহাতে গ্রাম আদালত কথাগুলিও ইউনিয়ন পরিষদের নাম অঙ্কিত থাকিবে । (২) অত্র বিধিমালা অনুসারে প্রদত্ত সকল সমন আদেশ ডিক্রি, নকল ও অন্যান্য কাগজপত্রে গ্রাম আদালতের সীলমোহর ব্যবহৃত হইবে ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস