আরুয়া ইউনিয়নের দক্ষিনে ভয়ঙ্কর পদ্মা যমুনা সংযোগ নদী উত্তরে র্দীর্ঘতম ইছামতি নদী। জনগনের ভাষা ও সংস্কৃতির দিক থেকে অনেকটা প্রাচীনতম।কথ্য ভাষায় আঞ্চলিকতা বিদ্যমান।৩৭টি গ্রাম সম্বলিত আরুয়া ইউনিয়নের ১৭টি গ্রাম পদ্মা যমুনার করাল গ্রাসে নিমজ্জিত। ভাষার দিকথেকে বর্তমানে আরুয়ার জনগনের ভাষা অনেকটা শুদ্ধ বাংলা।সংস্কৃতির দিক থেকে মানিকগঞ্জের অন্যান্য ইউনিয়নের মত আরুয়ার জনগন ও লোক সংস্কৃতির সমঅংশীদার ।এখানকার সংস্কৃতিতে মারফতি, মুশিদী,পল্লীগীতি,জারি গান, সারি গান,ধূয়া গান, বাউলগান সর্বপরি বিদ্যমান।ইহা ছাড়া আরুয়ার গ্রামে গ্রামে শীতের আগমনে আজ ও বিভিন্ন ফকিরের মেলায় চলে বিচার গান,বাউল গান ও এলাকার সৌখিন লোকের অসীম আগ্রহে অনুষ্ঠিত হয় যাত্রাগান, যেমন-কমলার বনবাস,ঘোনাই সুন্দরী,রহিম রূপবান,কাজল রেখা,বেহুলা লখিন্দর,মধুমালা,সাগরভাষা, আলোমতি প্রেমকুমার,শহীদে কারবালা । বিভিন্ন কাল্পনিক, ইসলামিক ও রূপক গানে আরুয়ার জনগন সুরে ছন্দে একাকার হয়ে থাকতো।বর্তমানে পদ্মা/যমুনা আরুয়ার কৃষকের হাসি আর আরুয়ার সংস্কৃতিকে দুমড়ে মুচড়ে শেষ করে দিয়েছে। তবুও বেঁচে থাকার অদম্য প্রচেষ্টার মাঝে গ্রাম বাংলার আরুয়ার জনগনের শিরায় শিরায় লোকজ সংস্কৃতি বিদ্যমান।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস